সফিকুল ইসলাম :
শনিবার (১০ মে)২০২৫ইং বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা আদ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জেলার মানুষের জীবনযাত্রা। তীব্র রোদের তাপে তেঁতে উঠেছে প্রকৃতি। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা মাঝারি ধরনের এই তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো জেলা।
গতকাল শুক্রবার (৯ মে) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এর আগে, বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এদিকে, তীব্র তাপপ্রবাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ। শহরের কোর্টরোড-বড়বাজার সড়কে পিচ গলে যেতে দেখা গেছে।
জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে শরবত তৈরি করা হচ্ছে। যা তীব্র গরমে চাহিদা বেড়েছে কেনাবেচার। পাশাপাশি ডাবেরও চাহিদা বেড়েছে।
একজন শরবত জানান,চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জেলার মানুষের জীবনযাত্রা। তীব্র রোদের তাপে তেঁতে উঠেছে প্রকৃতি। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা মাঝারি ধরনের এই তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো জেলা। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা। বেশ কয়েকদিন যাবত প্রচুর পরিমাণ শরবত বিক্রি হচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে লোকের আনাগোনা কম হলেও সকাল বা বিকেলের দিকে আসছেন ক্রেতারা।
ডাব বিক্রেতা আকাশ বলেন, গরমে ডাবের চাহিদাও বেড়েছে। প্রকারভেদে ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা পর্যন্ত একটি ডাব বিক্রি করা হচ্ছে।